অনলাইন ডেস্ক
আগামীকাল মঙ্গলবার রাত ১২ টা থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পূর্ব রাজাবাজার এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউন শুরু হবে।
আজ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান।
জানা গেছে, লাল, হলুদ ও সবুজ এলাকায় ভাগ করে ঢাকায় শুরু হচ্ছে এলাকাভিত্তিক ভিন্নমাত্রার লকডাউন (অবরুদ্ধ)। প্রাথমিক তালিকায় ওয়ারির একটি জায়গাও রয়েছে। পর্যায়ক্রমে তা অন্যান্য এলাকায় হবে। রাজধানীর বাইরে ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জের তিনটি এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ বিবেচনা করে চিহ্নিত করা ঢাকার লাল, হলুদ ও সবুজ এলাকা কীভাবে পরিচালিত হবে, তার গাইডলাইনও ইতিমধ্যে ঠিক করা হয়েছে। লকডাউন ঘোষিত এলাকায় চলাচল বন্ধ থাকবে। কেবল রাতে মালবাহী যান চলতে পারবে। ওই এলাকার মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য থাকবে হোম ডেলিভারি ও নির্ধারিত ভ্যানে করে কাঁচাবাজার কেনাবেচার সুযোগ। এসব এলাকার অফিস-আদালত বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও সাধারণত বন্ধ থাকবে। খুব প্রয়োজনে চললেও তা হবে খুবই নিয়ন্ত্রিতভাবে। করোনাভাইরাসের পরীক্ষার জন্য থাকবে প্রয়োজনীয়সংখ্যক নমুনা সংগ্রহ বুথ। থাকবে চিকিৎসা পরামর্শের সুযোগ।
কেন্দ্রীয় একটি কমিটির অধীনে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলের নেতৃত্বে পুলিশ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিসহ স্থানীয় মানুষকে সম্পৃক্ত করে কমিটি গঠনের মাধ্যমে লকডাউনসহ অন্যান্য বিষয় বাস্তবায়িত হবে।
করোনা ভাইরাসের কারণে টানা ৬৬ দিন বন্ধের পর গত ৩১ মে থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস চালু হয়েছে।
এরপর থেকে আগের চেয়ে পরিস্থিতির অবনতি হয়। এমন অবস্থায় ১ জুন সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক সভায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বিবেচনায় দেশের বিভিন্ন এলাকাকে ‘রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে’ ভাগ করে ভিন্নমাত্রায় এলাকাভিত্তিক লকডাউন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর কী প্রক্রিয়ায় সেটি হবে, তা নিয়ে কাজ শুরু করেন বিশেষজ্ঞরা, যা প্রায় শেষ পর্যায়ে।